বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে অকেজো মালামাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ
আপডেট সময় :
২০২৫-০১-০২ ১৩:০৪:৩৮
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে অকেজো মালামাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে পুরাতন অকেজো মালামাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিঃ (বিসিএমসিএল) ইন্ডাসট্রিয়াল এলাকায় সংরক্ষিত বিভিন্ন ধরনের অকেজো ঘোষিত লৌহ, রাবার ও তামা জাতীয় মালা মাল ওজনের ভিত্তিতে এবং খুচরা যন্ত্রাংশ জাতীয় রাইট অফকৃত মালামাল থোক ভিত্তিতে একক দলে যেখানে যে অব্ধসঢ়;সথায় আছে নিলামে বিক্রয়ের জন্য গত মার্চ ২০২৪ইং সালে দরপত্র আহবান করেন। সেই দরপত্রে নিদিষ্ট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়ে দরপত্র বিক্রয় করেন। সেই দরপত্রে লৌহা জাতীয় মালামাল ৫৯৯৯টন যাহার একক দর ৩০, রাবার জাতীয় মালাম ২৫ টন যাহার একক দর ৪ টাকা, তামা জাতীয় মালামাল ২.৫ টন যাহার একক দর ৫৭৩টাকা। উক্ত মালামাল গুলি সেনা কল্যাল সংস্থা নিলাম ক্রয়ের লক্ষে এবং খনিকর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে মালামাল ক্রয় করেন।
এই দরপত্র প্রক্রিয়াতে দেখা যায় যে, ২০২৪ইং সালের জানুয়ারী মাসে পেট্রোবাংলার অধীনস্ত কোম্পানি মধ্যপাড়া গ্রানাই মাইনিং কোম্পানী লিঃ তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় লৌহ, রাবার ও তামা জাতীয় মালামালের একক দর ছিলো লৌহ ৪২ টাকা, রাবার ১৫ ও তামা পিতল ৫০০টাকা এবং এই দরপত্রে সকলকে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়া হয়। এই দরপত্রের প্রতিযোগীতা হওয়ায় ৪২ টাকা লৌহ ৫৭ টাকা দরে বিক্রয় হয় এবং অন্যান্য মালামালের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করেন। অপর ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার অধীনস্ত কোম্পানি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে তার বিপরীত দরপত্রে প্রতিযোগীতা না হওয়ায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারিয়েছে।
পারবর্তীপুরের বিশিষ্ট্য ভাংড়ি ব্যাবসায়ী মেসার্স মেঘলা মেশিনারিজের স্বত্তাধীকারী মোঃ মাসুদ পারভেজ জানান, এই দরপত্রটিতে যদি সকলে অংশগ্রহণ করতে পারত তাহলে সরকার আরও ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় হত। তিনি জানান খনির কতিপয় উচ্চ কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে আওয়ীলীগ সরকারের আমলে এই টেন্ডার প্রক্রিয়া করে কম মূলে মালামাল বিক্রির প্রক্রিয়া চালিয়েছেন।
এতে ফুলবাড়ী, পারবর্তীপুর, ঢাকা ও চট্রগ্রাম লৌহ সহ সারা দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে গতকাল বুধবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা গ্রহণ করে নি। এ ব্যপারে স্থায়ীন লৌহ ব্যবসায়ীরা সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স